ফুসফুসে বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ হতে পারে। অ্যালার্জি সমস্যা, ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটতে পারে, যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন পিষে রস খেলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে, সঙ্গে হলুদগুঁড়া গরম পানি দিয়ে চায়ের মতো খেলে সংক্রমণ থাকে না। আর প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খাওয়া ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে অত্যন্ত কার্যকর।
* অনেকের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফোলা পিণ্ড থাকে, বাড়ে কমে না, ব্যথাও করে না, কিন্তু ফোলাটা মিশেও না, এমন ফোলা বা গোটা শরীর থেকে মুছে ফেলতে প্রতিদিন ছয়-আট কোষ রসুন সকালে খালি পেটে এবং দুপুর ও রাতে খাবার পর দুইটি করে রসুন কোষ খেলে ফোলাটা ধীরে ধীরে মিশে যাবে। অথবা দুই কোয়া রসুন হালকা করে ভেজে তা খেতে হবে।
খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ রসুনে আছে সালফার যা পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং ডায়রিয়া হওয়ার পেছনে এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে।
আরো পড়ুন- এলার্জি দূর করার উপায়- এবার ঘরোয়া ৯ট উপায়ে চিরতরে বিদায় নিবে এলার্জি
আজকে আলোচনা করবো রসুনের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এটি আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যের একটি প্রয়োজনীয় অংশ এবং জেনে নেবো রসুন শুধু আমাদের হৃদরোগের জন্য নয় বরং আরো অন্যান্য নানা রোগ নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুন – দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর উপায় – ঘরোয়া সমাধান!
সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে
কাঁচা রসুনের চেয়ে সিদ্ধ রসুন হালকা হয়ে থাকে। যারা কাঁচা রসুন খেতে পারেন না, হজমের সমস্যা, তারা সিদ্ধ রসুন খেতে পারেন।
ডায়রিয়া হলে রসুন খেতে পারেন। এতে ডায়রিয়া রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রুসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অনেক উপকারি তাছাড়া রসুন ক্ষুধা বাড়ায় এবং খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
১১। আ্যান্টি এজেন্ট প্রোপার্টি আছে যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে রসুন একটি website গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরুষদের দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখতে না পারা, খুবই কম যৌন শক্তি ইত্যাদি নানান সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় হলো রসুন। রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শুক্রাণুর সংখ্যা বহু মাত্রায় বৃদ্ধি করতে রসুনের বিকল্প নেই। রসুনে উপস্থিত সেলেনিয়াম মানবদেহে শুক্রাণু উৎপাদনকে সহজ করে তোলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
অতিরিক্ত রসুন খেলে চোখের কর্নিয়া ও আইরিশের মাঝে রক্তক্ষরণ হতে পারে যা হাইফিমা নামে পরিচিত। এ রোগের ফলে মানুষের চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে যেতে পারে। শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের রসুনের কোনো জুড়ি নেই।
৩. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ সুগারের ফলে রক্তে গুকোজ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। ইনসুলিনের অসম ক্ষরণের ফলে ডায়াবেটিস রোগ হয়ে থাকে। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি পদার্থ যা ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। এর জন্য প্রতিদিন সকালে ২-৩ কোয়া রসুন খেতে হবে চিবিয়ে অথবা কুচি করে কেটে সরাসরি গিলেও খেতে পারেন।
এছাড়াও রসুনের মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে আর সেটি হলো এলিসিন। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ও ভালো। এছাড়া, এলিসিনের মধ্যে পাওয়া একধরনের যৌগিক পদার্থ রসুনকে সুপারফুডের কার্যকারিতা প্রদান করে থাকে।